আফগানিস্থানের সীমান্তে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত শনিবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় খোশত ও কুনার প্রদেশে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে এই বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। খবর আল-জাজিরার।
খোশত প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক শাবির আহমাদ ওসমানী রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘খোশত প্রদেশে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমানা বিভাজনকারী রেখা ডুরাল্ড লাইনের কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। এ ছাড়া হামলায় আরও ২২ জন আহত হয়েছেন।’
খোশতে ৪১ জন নিহত হওয়ার এই তথ্য সেখানকার আরও দুই সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। এদিকে এক আফগান কর্মকর্তা শনিবার বলেন, কুনার প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের প্রতিবেদনে শিশুদের মরদেহের ছবি প্রকাশ করে জানানা হয়েছে, এসব শিশু পাকিস্তানের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়েছে, খোশত প্রদেশের শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে পাকিস্তানের নিন্দা জানাচ্ছেন। ওই বিক্ষোভে পাকিস্তানবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়।
এই বিমান হামলা নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে যেসব সশস্ত্র যোদ্ধা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে তালেবান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আল-জাজিরা বলছে, কঠোর ভাষায় দেওয়া পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’
গত বছর তালেবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। ইসলামাবাদ দাবি করে আসছে, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালেবান।