রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করে বলেছেন, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও মাকিভকা শহরে রুশপন্থীদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে সরব হলেও, এ বিষয়ে একেবারে নিশ্চুপ।
মস্কোর স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে ফোনালাপে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ক্রেমলিনের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুতনিকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থীদের ওপর ইউক্রেন বাহিনীর হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যায়িত করেন পুতিন।
২০১৪ সালে কিয়েভে বিক্ষোভের মুখে মস্কোপন্থী সরকারের পতনের পর ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলে নেয় রাশিয়া। সে সময়ই পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে নিজেদের সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় রুশপন্থী বিদ্রোহীরা। এর পর থেকেই এই দুই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও উগ্র জাতীয়তাবাদীরা হামলা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার।
স্পুতনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ ১৪ মার্চ দোনেৎস্কে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও ৩৫ জন। ওই ক্ষেপণাস্ত্রে গুচ্ছ বোমা ছিল বলে দাবি করে দোনেৎস্ক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা ও যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধিদল।
তবে ওই হামলার ঘটনা ইউক্রেন অস্বীকার করেছে। আল-জাজিরা টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লিওনিড মাতিউখিন বলেন, ‘সেটি (ক্ষেপণাস্ত্র) নিঃসন্দেহে রাশিয়ার রকেট বা অন্য কোনো অস্ত্র। এ নিয়ে কথা বলা কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
এদিকে গত কয়েক দিনে পুতিনকে ‘খুনি স্বৈরশাসক’, ‘ঠগবাজ’ ও ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এ ধরনের বক্তব্য অপমানজনক বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তাঁর ভাষ্য, বোমা হামলা করে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এমন বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য।