রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ড্রোন হামলার মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। হামলায় যে দু’টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, বর্তমান বাজারের নিরিখে সেগুলো বেশ সস্তা ধরনের যুদ্ধাস্ত্র।
গতকাল শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ প্রদেশে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৫৮তম সেপারেট মটোরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ঘটিয়েছে এই হামলা।
ধ্বংস হওয়া সেতুগুলো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাশিয়ার কাছে। বেলগোরোদ সীমান্তে অবস্থান নেওয়া রুশ সেনাদের কাছে খাদ্য ও রসদ পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল এটি।
তবে সম্প্রতি বেলগোরোদ সীমান্তে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার পর সেতু দু’টির পিলারের নিচে মাইন ও শক্তিশালী বিস্ফোরক পাতে রুশ বাহিনী।
সিএনএনকে ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলায় ব্যহহৃত ড্রোন দু’টি দামী কোনো যুদ্ধাস্ত্র ছিল না। ড্রোনগুলোর বাজার মূল্য ৬০০ থেকে ৭২৫ ডলারের মধ্যে। তবে ড্রোনগুলো আমদানি করা, না কি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর নিজেদের তৈরি— তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদনকে ঘিরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী; শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
এই প্রথম কমদামী যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করল ইউক্রেনীয় বাহিনী