ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসূল সা. এর জীবনাদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সারা পৃথিবীর সকল জীবনাদর্শ এনালাইসিস করেও এর কোন বিকল্প আজও আবিষ্কার করতে পারেনি। পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান তিনি প্রণয়ন করেছেন। আজকে বাংলাদেশেও নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য বিভাগে সংস্কার করতে হলে রাসূলুল্লাহ সা. এর জীবন আদর্শে ফিরে যেতে হবে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার মৌলিক ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশন গুলোতে যথোপযুক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হবে। যৌথ অভিযানের নামে চুনোপুঁটিদের ধরলে কাজ হবে না, রাঘব বোয়ালদেরও ধরতে হবে।
সারা পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কেন এতো ধীরগতি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের আসফালন থামাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উগ্রবাদী-সন্ত্রাসবাদী সকল সংগঠন ও গোষ্ঠীর মূলৎপাটন করে এই জাতিকে জঙ্গি জঙ্গি খেলা থেকে মুক্তি দিতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে কারওয়ানবাজারস্থ টিসিবি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সীরাত সম্মেলনে-২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূছ আহমাদ।
দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সিরাত সম্মেলে বক্তব্য রাখেন, মুফতি জাফর আহমাদ পীর সাহেব ঢালকানগর, মাওলানা ড. মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা ওবায়দুল কাদের নদভি, অধ্যাপক মোহাম্মদ রেদওয়ানুল হক আখন্দ, মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, মওলানা যুবায়ের আহমদ আশরাফ, ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মোমিন, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব হাসমত আলী৷ মুফতি ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূছ আহমাদ বলেন, আমরা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের যেই স্বপ্ন দেখছি রাসূল সা. এর জীবন আদর্শ বাস্তবায়ন ছাড়া এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডকে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বাংলাদেশের যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, সেই টাকা যদি রাসূল সা. দেখানো অর্থ ব্যবস্থায় বৈষম্যহীনভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হতো তাহলে একজন ভিক্ষুকও খুঁজে পাওয়া যেত না।