রাজধানীর মতিঝিল ও বাড্ডার আফতাব নগরে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে শতকোটি টাকার জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে একটি দুস্কৃতিকারি মহল। তারা এরইমধ্যে মতিঝিল শাপলা চত্বরের কাছে সিটি খতিয়ান ৭৬১ নম্বর থেকে ৭৩ শতাংশ এবং আফতাব নগর থেকে ৯৯.৫৬ শতাংশ জমি নামজারি করে নিয়েছে। আফতাব নগরের জমিটি নামজারি হয়েছে তেজগাঁও এসিল্যাড অফিসে।
তেজগাঁও এসিল্যাড অফিসের নামজারি কেস নং-১০৫৫৭/২২-২৩। সিটি খতিয়ন নম্বর ১২৬৪৯, ১২৬৬১, দাগ নং-২৫৩১১, ২৪৬৬৪, ২৪৬৭৬। অভিযোগ রয়েছে জনৈক ফ্রাস প্রবাসী মৃত সিরাজুল ইসলামকে নিঃসন্তান দেখিয়ে জমিটি আত্মতাৎ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, মতিঝিল ও বাড্ডায় সাবেক তহশিলদার ফারুক খান ও দৌলত উল্লাহ তহশীলদার থাকা কালীন সময় দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির অবৈধভাবে মালিক হন। ৫০০ কোটি টাকার এই জমি ভুয়া মালিক সাজাইয়া জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন তারা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে মতিঝিল মৌজায় দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৭১ শতাংশ সম্পত্তি সহকারী কমিশনার ভূমি মতিঝিল সার্কেল নামজারি জমা ভাগ করতে গেলে সহকারি কমিশনার ভূমি মতিঝিল সার্কেল ৩ বার বাতিল করে পরবর্তীতে দুর্নীতিবাজ ফারুক খান প্রভাব খাটিয়ে বৈমাত্রিক ভাই সাজিয়ে মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের কর্তৃক নামজারি হাসিল করেন। মতিঝিল মৌজার জন্য ৬৩ নাম্বার ওয়ার্ড কর্তৃক ওয়ারিশ সনদ দাখিল করেন বাড্ডা মৌজা ৯৯ শতাংশ সম্পত্তির জন্য একই ব্যক্তিগণ ৮ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সনদ দাখিল করে জালিয়াতি আশ্রয় নিয়া সহকারী কমিশনার তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেল কর্তৃক নামজারি হাসিল করে।
উক্ত জালিয়াতি চক্র বৈমাত্রিক ভাই সাজাইয়া দুইজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হইতে ভিন্ন জায়গায় আইডি কার্ডের ঠিকানা থাকা সত্ত্বেও জালিয়াতির মাধ্যমে বৈমাত্রিক ভাই সাজাইয়া ১। মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন, ঠিকানা: ১৫০/১, আজিমপুর রোড, নিউ মার্কেট, লালবাগ, ঢাকা। ২। মাহাবুবা কালাম, ঠিকানা: ৫২ নং ফ্ল্যাট বি-৫, ধানমন্ডি-৫, রোড-৫, নিউ মার্কেট, ঢাকা। ৩। মোঃ নাজমুল হাসান, ঠিকানা: ১৫০/১, আজিমপুর রোড, নিউ মার্কেট, লালবাগ, ঢাকা। ৪। খালেদ হাসান, ১৫০/১, আজিমপুর রোড, নিউ মার্কেট, লালবাগ, ঢাকা। ৫। ফারুক হোসেন, ১৫০/১, আজিমপুর রোড, নিউ মার্কেট, লালবাগ, ঢাকা। ভিন্ন ওয়ার্ড হইতে অর্থাৎ ২১/১১/২২ ইং ৬৩ নং ওয়ার্ড ০২/৪/২৩ ইং ৮ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলদের কাছ থেকে সনদ সংগ্রহ করেন। প্রকৃতপক্ষে তাদের জাতীয় পরিচপত্র যাচাই করে দেখা যায় যে, তারা উক্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দাই না। উক্ত চক্র ঢাকার বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ৫ম আদালতে যোগসাজশের মাধ্যমে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ২৫০/২০২১ মূলে সোলে সূত্রে একখানা ডিগ্রী হাসিল করেন।
উক্ত মোকদ্দমায় উল্লেখ করা হয় যে, ফ্রাস প্রবাসী মৃত সিরাজুল ইসলাম জীবিত থাকা অবস্থায় মৌখিক দানপত্রের মাধ্যমে জনৈক মোঃ মিজানুর রহমান কে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যান। দলিল দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলে তিনি তা দিয়ে যেতে পারেননি। এই অভিযোগে মোঃ সিরাজুল ইসলাম সাবেক তহশিলদার ফারুক খানকে মৃত সিরাজুল ইসলামের ভাই পরিচয় দিয়ে মামলার বিবাদী করে রায় ডিগ্রি হাসিল করেন। এখন মতিঝিল মৌজার ৭৬১ নং সিটি খতিয়ান ৭৩ শতাংশ জায়গার মালিক বনেগেছেন দুস্কৃতকারি চক্র।