জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে বিধিমোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক পদে নিয়োগকৃতদের এমপিওভুক্তির (বেতন ভাতার সরকারি অংশ) দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার সকাল ১১ টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান গেটের সামনে এমপিওভুক্তির তালিকায় বাদ শিক্ষকদের সংগঠন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিন সকাল ১০ টায় সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তালিকায় বাদ পড়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে জড়ো হয়। পূর্ব নির্বারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে সকাল ১১ টায় প্রধান গেটের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় শিক্ষকরা বলেন, ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনির আন্তরিকতায় বিধিমোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক গত ৭ নভেম্বর ২০২১ এমপিওভুক্তির নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত দিয়ে ৭৭০ জন তৃতীয় শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। কিন্তু এই তালিকায় এমপিওভুক্তির শর্ত উপেক্ষা করে নানা ধরনের ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অসচেতনাতা ও উদাসীনতায় সব ধরনের শর্ত পূরণ থাকা সত্তে¡ও এমপিওভুক্তির ওই তালিকায় দেশের বিভিন্ন ¯স্থানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বছরের পর বছর বিনা বেতনে চাকরি করা এসব শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে না পারায় চরম হতাশায় রয়েছেন।
তারা অনতিবিলম্বে এই ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ ৭৭০ জনের তালিকা বাতিল করে বিধিমোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিয়োগকৃত সব তৃতীয় শিক্ষককে এমপিও ভুক্তির দাবি জানান।
মাউশি প্রকাশিত তালিকায় বিভিন্ন ধরণের অসঙ্গতি তুলে ধরে শিক্ষকরা জানান, তালিকায় একই শিক্ষকের নাম একাধিকবার প্রকাশ, এরআগে সমন্বয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক, ননএমপিও ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক, সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক ফেডারেশনের সমন্বয়কারী মোছা. বুলবুলি আক্তার ও ফরহাদ হোসেন, শিক্ষক আব্দুল আলীম, এস এম হোসেন আলী, মো. মিজানুর রহমান, আব্দুল হান্নান প্রমুখ।