মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে আজ সোমবার। দেশটির সব মসজিদে ঈদ জামাতে ব্যাপক মুসল্লির উপস্থিতি দেখা যায়। করোনাপরিস্থিতির পর এবার স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদ উদযাপনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে সোমবার (২ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় দেশটির জাতীয় মসজিদ নেগারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সবচেয়ে বড় ঈদ নামাজ। নামাজ শুরুর আগেই মুসল্লিদের আগমনে ভরে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গণ। নামাজের আগে বয়ান পেশ করেন জাতীয় মসজিদ নেগারার প্রধান ইমাম তুন হাজী এহসান বিন মোহাম্মদ হোসনি।
মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর সরকারের বিধিনিষেধে থাকায় ঈদ আনন্দ ছিল নিষ্প্রাণ। তবে এবারের ঈদের নামাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। এদিন দেশটির প্রতিটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। কুয়ালালামপুরের টিটিওয়াংসা বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতি রেজাউল হক।
ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিতে চৌকিট বাংলাদেশি মসজিদ বায়তুল মোকাররম, বুকিট বিনতাং বাংলাদেশি সুরাও, সুবাংজায়া বাংলাদেশি মসজিদ, শ্রীমুডা বাংলাদেশি মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, সুঙ্গাইবুলু, পুচং, মালাক্কা, পেনাং, জহুরবারু, কেপং জান্নাতুল ফেরদাউস বাংলাদেশি মসজিদ ও মালয়েশিয়া ইসলামি ইউনিভার্সিটির জাতীয় মসজিদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও প্রবাসী মুসল্লিদের ঢল নামে।
নামাজে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকে দেশে ফোন করে স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। এসময় পুরো এলাকা এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়।
এদিকে মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগোং সুলতান আব্দুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ, প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তুন ডা. মাহাথির মোহাম্মদ, আনোয়ার ইব্রাহীম দেশবাসী ও বিদেশিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এছাড়া মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।