শিরোনাম
  • ফের যে আসন থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল কে এই নতুন মেসি-ইয়ামাল? ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে যা বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে যে নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আলুর দাম নিয়ে যে দুঃসংবাদ শোনালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা হাইকোর্টের রায়ের স্থগিতাদেশ নিয়ে যা জানালেন আইনজীবী শিশির মনির নির্বাচন নিয়ে নতুন যে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার নির্বাচন নিয়ে চাপ দিলে পদত্যাগ করবো: সিইসি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাউশির ২০ নির্দেশনা

    একমাস পর ক্লাসে ফিরেছে টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা

    প্রাথমিক স্কুল খুলবে ২ মার্চ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন

    একমাস পর ক্লাসে ফিরেছে টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা

    দীর্ঘ একমাস বন্ধের পর প্রাথমিক ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে আজ। তবে শুধু যারা করোনা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছে তারাই নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আজ থেকে শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারছে। বাকীরা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেবে। দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।


    এদিকে প্রথম দফায় আজ থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলললেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ২ মার্চ থেকে। আর কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ গত ২১ জানুয়ারি থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা বিধিনিষেধ। এবিষয়ে গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে ২০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


    মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে- কোডিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া শিক্ষার্থীরা সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পালনে করণীয় বিষয়গুলো ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


    নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণ করা অ্যাসাইনমেন্টগুলোর কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন আগের নির্দেশনা মেনে প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়াতে প্রতিষ্ঠানের সব প্রবেশ/প্রস্থান মুখ ব্যবহারের ব্যবস্থা করা। একটি প্রবেশ/প্রস্থান মুখ থাকলে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ/প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।


    প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সে বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখতে হবে।প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ ও আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।


    প্রতিষ্ঠানের সব ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ/অবস্থান/প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ এবং পারস্পরিক ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।


    খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


    ্এদিকে নানা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। খুব শিগগিরই শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ফিরে আসার প্রত্যাশা করছেন তারা। একইসঙ্গে দীর্ঘ দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোও দ্রæত খুলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।


    সূত্রমতে, আগের রুটিন অনুযায়ী এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চমের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনই সশরীরে ক্লাস হবে। আর তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবমে সপ্তাহে দুই দিন সশরীরে ও বাকি চারদিন অনলাইনে এবং প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন সশরীরে ক্লাস হবে। বাকি পাঁচ দিন হবে অনলাইনে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে করোনা টিকার সনদ নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

     

     

     

     

     




    সাতদিনের সেরা খবর

    শিক্ষা - এর আরো খবর

    এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে ১৬ অক্টোবর

    এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে ১৬ অক্টোবর

    ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন

    ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যা বললেন উপাচার্য

    ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যা বললেন উপাচার্য

    ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন