শিক্ষকদের আশ্বাসে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় অবরোধ প্রত্যাহার করেন নীলক্ষেত মোড় থেকে সরে যান তারা। এরপর ওই এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, প্রায় আধঘণ্টা নীলক্ষেত মোড় অবরোধের পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ইডেন মহিলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল বাসারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। শিক্ষকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অসমাপ্ত পরীক্ষাটি দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন এবং আবরোধ তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
অবরোধে অংশ নেওয়ার কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সম্রাট হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে ঢাবির ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।
ইডেন মহিলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল বাসার বলেন, আমাদের ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা ছিল। স্থগিতের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, অধ্যক্ষ মহোদয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
অবরোধের বিষয়ে বিষয়ে নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ স.ম. কাইয়ুম বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। জনভোগান্তি এড়াতে আমরা তাদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে বলি। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে হঠাৎ করে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ভয়াবহ সেশনজটে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে। গত ২১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তারা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজই তাদের শেষ পরীক্ষা ছিল।
সূত্রমতে, করোনা পরিস্থিতিতে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে অনেক পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে।