হঠাৎ করেই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়, পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে অনুষ্ঠিত নতুন কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক রেখে করোনা মোকাবেলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, অনেক শিশু করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যেটা আগে ছিল না। একারণে আমরা আপাতত দুই সপ্তাহ শ্রেণিকক্ষে মুখোমুখি ক্লাস বন্ধ রাখতে বলেছি। তবে এখন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। করোনা সংক্রমণ কমলে আবার স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারো ক্লাসে ফিরবে তারা। তবে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে পারবেন।
কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। এসময় তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকার কথা জানান।
শাবিপ্রবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে রাতে আলোচনা করবো।
সব কিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কী না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ফলপ্রসু হবে কী না তা নির্ভর করবে আমাদের সবার উপর। এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।