শিরোনাম
  • ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন ১২ বিচারপতির ছুটি নিয়মের মধ্যেই হয়েছে : রিজওয়ানা হাসান ৫৬ বছর বয়সে এইচএসসি পাস করেছেন আব্দুল হান্নান  পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা 'শত্রুতামূলক পদক্ষেপ' : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেঙ্গুতে আরো ৮ জনের মৃত্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি পরিদর্শন ড.ইউনূসের যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ১৮ দফা সুপারিশ
  • কারাগারেই বিয়ে করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

    জাগো কণ্ঠ ডেস্ক

    ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

    কারাগারেই বিয়ে করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

    কারাগারে বন্দি অবস্থায়ই বিয়ের অনুমতি পেয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে বন্দী রয়েছেন তিনি তার বাগদত্তা স্টেলা মরিসের সঙ্গে কারাগারেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন।

    মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত গুপ্তচরবৃত্তির আইনে করা মামলার আসামি। ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্য পুলিশ। তখন থেকে বেলমার্শ কারাগারে বন্দী তিনি। স্টেলা মরিসের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের সম্পর্কের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে তিনি জেলে যাওয়ার পর। দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত আইনজীবী স্টেলা নিজেই গত বছর ‘মেইল অন সানডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এ খবর। বলেছিলেন তাদের দুটি পুত্র সন্তানও আছে।

    সম্প্রতি কারাগারে বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে কারা গভর্নরের কাছে আবেদন করেন ৫০ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কারা বিভাগের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, অন্য কারাবন্দীদের মতোই প্রচলিত নিয়মে কারা গভর্নর অ্যাসাঞ্জের আবেদনটি গ্রহণ, বিবেচনা ও আমলে নিয়েছেন।

    যুক্তরাজ্যভিত্তিক পিএ মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে স্টেলা বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বিয়েতে আর কোনো বাধা আসবে না।’

    যুক্তরাজ্যের বিবাহ আইন ১৯৮৩–এর আওতায় বন্দীরা কারাগারে বিয়ের জন্য আবেদনের সুযোগ পান। আবেদন মঞ্জুর হলে সম্পূর্ণ খরচ নিজেদের মিটিয়ে বিয়ে করতে হবে তাদের।

    গত বছর উইকিলিকসের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক ভিডিওতে স্টেলা মরিস জানান, ২০১১ সালে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী দলে যোগ দেওয়ার পরই প্রথম দেখা হয় দুজনের। তিনি প্রায় প্রতিদিন ইকুয়েডর দূতাবাসে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল। ২০১৫ সালে তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। দুই বছর পর তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়। ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালেই গর্ভধারণ করেন তিনি।

    স্টেলা জানান, দুই সন্তানের জন্মের সময় দূতাবাস থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জ যুক্ত হয়েছিলেন। সন্তানেরা ইকুয়েডর দূতাবাসে বাবার সঙ্গে মিলিতও হয়েছিল। 
     




    আন্তর্জাতিক - এর আরো খবর