ইউরোপের ওষুধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা শুক্রবার মশা থেকে জন্মানো চিকুনগুনিয়া রোগের বিরুদ্ধে মহাদেশের প্রথম টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে, সেই সঙ্গে ‘জলবায়ু পরিবর্তন এই রোগের বিস্তারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে’ বলে সতর্ক করেছে।
চিকুনগুনিয়াকে চিক জ্বরও বলা হয়ে থাকে। এটি ডেঙ্গু বা জিকার মতোই একটি অসুখ। রোগটি উচ্চ জ্বর ও গুরুতর জয়েন্টে ব্যথার কারণ হয় যা প্রায়শই দুর্বল করে এবং কালের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, পেশীতে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও ফুসকুড়িও লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার আগে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইএমএ বিপণনের অনুমোদন দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ভলনেভা অস্ট্রিয়া’র তৈরি, ইক্সচিক নামীয় ভ্যাকসিনটির একক- ডোজ পাউডার বা ইনজেকশন ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের দেওয়ার ২৮ দিন পর নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। প্রতিষেধক টিকাটি দেওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
ইএমএ জানায়, চিকভি ভাইরাসের কারণে এই রোগ হওয়ায় রোগটির এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। বেশিরভাগ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের লোকেদের ওপর রোগটি প্রভাবিত করে এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ দেশে এই রোগের উচ্চ সংখ্যার কথা জানা যায়। আমস্টারডাম-ভিত্তিক সংস্থাটি আরো জানায়, চিকুনগুনিয়া ইউরোপের কোনো স্থানীয় রোগ নয়, মহাদেশের বাইরে ভ্রমণকালে বেশিরভাগ এ রোগে আক্রান্ত হন। প্রধানত ইউরোপের দক্ষিণে সংক্রমিত ভ্রমণকারীরা ফিরে আসার পরে তাদের দ্বারা সংক্রমণের বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে।