ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের মাঝে ভিন্ন ধর্মীয় চেতনা ঢুকছে। এভাবে ধর্মহীন জাতি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে। নতুন কারিকুলাম ১০০% কারিগরী নির্ভর হওয়াই শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে। বিদেশি এনজিওদের প্রেসক্রিপশনে প্রণীত ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ বইয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্তরালে কোমলপ্রাণ শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের সামনে যৌনতাকে এমন নির্লজ্জভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে সচেতন অভিভাবক রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এসব পাঠ্যসিলেবাস পাঠ করে শিশু-কিশোরদের মনে অধিক জানার আগ্রহ সৃষ্টি হওয়াই মোবাইলে পর্ণ সাইটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আবার কেউ কেউ টিকটক, রিলস ভিডিও বানিয়ে নেটে ছেড়ে দেয়ার ফলস্বরূপ চরিত্র হননের শিকার হচ্ছে। ধর্মীয় অনুশাসনে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে আমরা কখনোই পশ্চিমাদের ভোগ্যপণ্য হতে দিতে পারি না।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা কালা বিবির দীঘিস্থ কিং অব আনোয়ার কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিশাল ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিনভর বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ইসলামপ্রিয় হাজার হাজার মানুষ সম্মেলনে যোগদান করেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুজাহিদ কমিটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৯ম শ্রেণীর ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরুপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ইচ্ছাকৃত ভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। কিভাবে একটি মুসলিম দেশের পাঠ্যপুস্তকে এসব অশ্লীল বিষয়যুক্ত হল তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। শিক্ষা সিলেবাস থেকে সকল অশ্লীল ভাষা, শব্দ, বাক্য বাদ দিতে হবে। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের দ্বারা পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানেরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।