যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন সিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তাহেরা খাতুন নামে একজন ব্রেস্ট টিউমার রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ ।
শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মনজুরুল মুরশিদ সাত কার্য দিবসের মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে কতিপয় সাংবাদিত ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে সিটি হাসপাতাল কতৃপক্ষ।মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের পুত্র শহিদুল ইসলাম বলেন, বেনাপালের কাগজপুকুর গ্রামের কলোনী পাড়ার রেজাউল ইসলামের স্ত্রী তাহেরা খাতুন বুকের ব্যথার চিকিৎসা নিতে নাভারন সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয় গত ২৮ এপ্রিল রাত ৮ টার সময়। হাসপাতালের ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তার ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে বলে জানায়। এক পর্যায়ে সিটি হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে রাত ১০ টার সময় হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তার সুজিত রায় তাহেরা খাতুনকে অপারেশনের জন্য অপারশন কক্ষে নেন। এ সময় অজ্ঞান করার দায়িত্বে ছিলেন এমবিবিএস ডাক্তার আশরাফুল আলম। অপারেশন শেষে রোগীর জ্ঞান না ফেরায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করছেন নিহতের পুত্র শহিদুল ইসলাম।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছাম্মদ মাহফুজা খাতুন জানান, ঘটনাটি আমার এলাকায় হলেও খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তর এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলম বলেন, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে তদন্তের নির্দেশনা পাওয়ার পর ৩ মে মেডিসিন বিশেজ্ঞ ডাঃ রফিকুজ্জামানকে প্রধান কর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। নির্ধারিত সময়েই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবেতিনি জানান।