মানিকগঞ্জে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ধলেশ্বরী নদী রক্ষায় কলাপাতায় চিড়া মুড়ি খেয়ে মানববন্ধন করেছে এক ঝাঁক কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মকিমপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর পাড় ঘেঁষে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সামাজিক সংগঠন একতা কিশোরী ক্লাব ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক যৌথভাবে কর্মসূচির আয়োজন করে।
একতা কিশোরী ক্লাবের সভাপতি সামিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া আক্তারের সঞ্চালনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে সৃষ্ট অচলাবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়, কর্মসূচি কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, গাজী শাহাদত হোসেন বাদল, মো. নজরুল ইসলাম ও সামায়েল হাসদা প্রমুখ।
বারসিক উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ধলেশ্বরী বাংলাদেশের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী নদী। এই নদীতে এক সময় বড় বড় পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ স্টিমার চলাচল করতো। কালের বিবর্তে সংকুচিত হয়ে নদীটি বর্তমানে সরু খালে পরিণত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ও প্রভাবশালীদের দখল প্রতিযোগিতায় আগ্রাসী থামায় এটি ক্রমশ পানি শুন্য হয়ে পড়ছে।
বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায় বলেন, ধলেশ্বরী আজ অস্তিত্ব সংকটে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই নদী রক্ষায় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তিনি এই নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহ সচল রাখতে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
একতা কিশোরী ক্লাবের সভাপতি সামিয়া আক্তার বলেন, সরকার উদ্যোগী না হলে আন্দোলন সংগ্রাম করে লাভ নাই। নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে সামিয়া বলেন, খাল বিল, হাওর-বাওড়, ডোবা-নালা পুকুর ও নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
মানববন্ধন শেষে লোকজ সাংস্কৃতির চিরায়িত ঐতিহ্য বৃষ্টি বন্ধনায় মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন কৃষাণী মজিরন বেগম ও নাদিয়া বেগম ও তাদের দল।
অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত অসাধারণ লোকেশনে অনুষ্ঠিত সঙ্গীতানুষ্ঠানে আশপাশের নারী শিশুসহ বিপুল সংখ্যক দর্শক সমাগম ঘটে।
পরে উৎসবমুখর পরিবেশে কলাপাতায় ছাতু-মুড়ি খেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন একঝাক কিশোরীসহ অংশগ্রহণকারী ।