শিবগঞ্জে প্রায় ২৫/৩০স্থানে তীব্র যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও সংশ্লিষ্ট্ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়ছে না বলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে জানা গেছে। যানজটের কারণ হিসাবে নানাবিদ কারণ থাকলে দীর্ঘদিন যাবত কোন নিরসন না হওয়ায়ায় যানজট তীব্র হতে তীব্রতর হতে আছে।
সরেজমিনে ঘুরে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে সবচেয়ে যানজট চলছে শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবগঞ্জ মনাকষা মোড়, কারবোলা মোড়, ইসরাইল মোড়,ডায়বেটিকস হাসপাতাল মোড়, শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়,কোটবাজার মোড়,পুরাতন পৌরসভা মোড়সহ আরো কয়েকস্থানে দীর্ঘদিন যাবত যানজট চলছে। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে দূর্ঘটনা, অন্যদিকে তেমনি বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের । কারণ তারা সময় মত নিজ নিজ গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে পারে না। শিবগঞ্জ বাজারের মনাকষা মোড়ে যানজটের অন্যতম কারণ হলো মূল রাস্তার পার্শে ঘন ঘন দোকান ও হোটেল থাকা। হোটেলের আবর্জনা রাস্তায় ফেলা ও রাস্তা ঘেঁষে হোটেলের চুলা জ্বালানো ও খড়ি রাখা । যানবাহনগুলোকে স্থানীয়রা দোকানদাররা দাঁড়াতে না দিয়ে অস্থির করে তোলা। ফলে যানবাহন বিশেষ করে শত শত অটো রাস্তার উপর দীর্ঘক্ষন ধরে দাঁিড়য়ে থাকে। শুধু এখানেই নয়। শিবগঞ্জ ডায়বেটিকস হাসপাতালের সামনেও একই ভাবে মাহেন্দ্র,অটো, অটো রিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালে ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে পুরাতন পৌরসভা মোড়, কারবালা মোড়, তর্তীপুর মোড়, ইসরাইল মোড়, হাসপাতাল মোড়, কোট বাজার মোড়ে একই সমস্য বিরাজমান। যদিও শিবগঞ্জ পৌরসভা বিভিন্ন স্থানে পৌরসভার পক্ষ থেকে ১৬জন ট্রাফিক সকাল আটটা শুরু করে দুই শীফটে রাত আটটা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার সচিব মোবারক হোসেন বলেন, আমি কয়েকদিন বিভিন্ন দোকানদার ও হোটেলের মালিাককে রাস্তার পাশ থেকে চুলা সরিয়ে নিতে ও রাস্তায় আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করলেও তারা কর্নপাত করছে না। পৌর মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী রাস্তার পার্শে হোটেলের চুলা ও খড়ি থাকতে পারে না। তাছাড়া রাস্ত্াার দুই পাশে তিনফিট করে জায়গা খালি রেখে দোকানপাট তুলতে পারবে । কিন্তু স্থানীয়রা মূল রাস্তার পাশ ঘেষেই দোকান পাট তৈরী করে রেখেছে। তাছাড়া সাধারণ যাববাহন চালক ও যাত্রীরা আমাদের ট্রাফিকদের সঠিক মূল্যায়ন করছে না। তাই আমি সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করছি যে শিবগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি মোড়ে একজন করে পুলিশ দেয়া হোক । তাছাড়া শিবগঞ্জ পাগলা নদীর উপর ক্ষতিগ্রস্থ বেলী ব্রীজ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজন লেগেই থাকছে। যেদিকে প্রশাসনের কোন দুষ্টি নেই বলে অনেক্রে অভিযোগ। অন্যদিকে কানসাট বাজার , কানসাট ব্রীজ এলাকা, চামা বাজার, মনাকষা ঈগগাহ মোড়,দূর্লভপুর বাজার,আদিনা কলেজ মোড়, রানীহাট্টি বাজার এলাকা, ছত্রাজিতপুর বাজার এলাকা, কানসাট গোপালনগর মোড় সহ উপজেলিার প্রায় ৩০টি স্থানে র্দীর্ঘ দিন যাবত যানজট লেগেই থাকছে। অনেকের মন্তব্য লাইসেন্সবিহিন অটো অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় যানজটের অন্যতম কারণ।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলো নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত বলেন শিবগঞ্জ পৌরসভার যানজট নিরসনে মূল দায়িত্ব পৌরসভার মেয়রের। তিনি তো পৌরসভাতে প্রায় ১৬জন ট্রাফিক মোতায়েন রেখেছেন। সাময়িকভাবে কিছুটা সমস্য হলেও স্থায়ী কোন সমস্য হয়না। তাছাড়া উপজেলাা অন্যান্য স্থানে তেমন কোন যানজট নেই । বিশেষ কারণে বিশেষ বিশেষ স্থানে যানজট হলে আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকি। তাছাড়া স্থানীয় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদকে সার্বিক দেখা শুনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন কোন এলাকার সমস্যাবলীর ব্যাপারে কোন লিখিত অলিখিত অভিযোগ করলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।