বিভিন্ন দাবিতে ভূমি সেবা বন্ধ করে সারাদেশে আন্দোলন করছেন সার্ভেয়াররা। গত এক মাস ধরে চলমান কর্মবিরতিতে সারাদেশের এসিল্যান্ড সহ সব ভূমি অফিসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আর এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বঞ্চিত হচ্ছেন ভুমি সেবা থেকে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সোমবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবারও একই কর্মসূচি পালিত হবে। ফলে জনগণ ভূমি জরিপসংক্রান্ত সব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অবিলম্বে এ অবস্থার অবসান চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ মিরাজ হোসেন এর কর্মস্থল কেরানীগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিস। পূর্ণ দিবস কর্মবতি কর্মসূচির কারণে সোমবার তিনি কেরাণীগঞ্জের অফিসে যাননি। বলেছেন আগামীকালকে অফিসে যাবেন না। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের এক থেকে তিন তারিখ পর্যন্ত সারভেরা সারাদেশে পর্দা দিবস কর্মবিরতি পালন করে।এছাড়া গত এক মাস থেকে সার্ভেরা বিভিন্ন জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনের সচিবালয় সহ বিভিন্ন উপদেষ্টা দপ্তরে তাদের দাবি দেওয়া সম্পর্কিত স্মারকলিপি দিয়ে আসছে। ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও জনগণের সেবা থেকে তারা দূরে রয়েছে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য সার্ভাররা তাদের উপর দায়িত্ব পালন করছে না। সূত্রমতে, রাজধানীর বাড্ডার মোড়েলপাড়া জামে মসজিদের ভূমি প্রস্তাব নিয়ে দেড়মাস ধরে ঘুরেও সমাধান পাননি। এসিল্যান্ড তেজগাঁও থাকায় সেটি ঝুলে আছে। ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্ভেয়ারদের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক। তবে এভাবে সেবা বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা চরম অন্যায়। অবিলম্বে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহবান জানান তিনি।
আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারের সকল দপ্তরে কর্মরত অন্যান্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু সমমান এবং এক ও অভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরকে ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। একই কারিকুলামে ডিগ্রি অর্জন করে কেউ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, আবার কেউ তৃতীয় শ্রেণিতে চাকরি করছেন। আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই। বিগত সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ সংক্রান্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি। আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। দাবি বাস্তবায়ন না হলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।